কুয়াকাটা প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে এবং মহিপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে সোমবার সকাল ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। সম্প্রতি দুটি আঞ্চলিক দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের জন্য মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে দায়ী করে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। ইউপি সদস্য জাফর উদ্দিন কুতুব তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ানম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনছার উদ্দিন মোল্লাকে জড়িয়ে মহিপুর থানার ওসির ইন্দনে যেসব কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহলের ইশারায় ওসি তার সুবিধাভোগী সহযোগীদের সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা করোনা আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টোইনে রয়েছেন। চাঁদাবাজী, মাসোয়ারা আদায়, ভূমি দস্যুতা, টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া, মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা এবং সালিশ বাণিজ্যের কথা বলা হলেও যার পুরোটাই মিথ্যা। বরং চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের ইউনিয়ন পরেষদের এখতিয়ারভ’ক্ত নিয়ম অনুযায়ী সালিশ বোর্ডের মাধ্যমে সালিশ মীমাংশা করে থাকেন। প্রকাশিত সংবাদে চেয়ারম্যানের কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি। লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য কুতুব বলেন, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব জহিরুল ইসলাম খান উদ্দেশ্যমূলক চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত ওই সংবাদে মানহানীকর বক্তব্য দিয়েছেন। তার জমি নিয়ে মূলত: রাখাইনদের সাথে আদালতে মামলা চলমান, যা আদালতের নিস্পত্তির বিষয়। সেখানে চেয়ারম্যানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া চেয়ারম্যানকে নিয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের ভাষ্যে সালিশ বাণিজ্যের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ওসি মনিরুজ্জামান থানা ভবনের নিচতলায় প্রায় প্রতিদিন সালিশ বাণিজ্য নিয়ে বসেন। ওসির অন্যায় অপকর্ম আড়াল করতে সুকৌশলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জাফর উদ্দিন কুতুব দাবি করেছেন। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কুদ্দুস মাহমুদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্য এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply